আমাদের দেহের যে অংশটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়, তা হলো পা। একবার চিন্তা করুন! ‘পা আমাদের শরীরের ভিত্তি।’
পায়ের সঠিক যত্ন নেওয়ার মাধ্যমে আপনি অস্বস্তি থেকে মুক্তি পেতে পারেন, গতিশীলতা বজায় রাখতে পারেন এবং একটি সক্রিয় জীবনযাপন উপভোগ করতে পারেন। তবে পায়ের যত্নে আমাদের অনেক সময় উদাসীনতা দেখা যায়।
অন্যদিকে, ত্বকের যত্নে আমরা অনেক বেশি সচেতন। যেমন, বিভিন্ন ধরনের সিরাম, ময়েশ্চারাইজার, সানস্ক্রিন ইত্যাদির মাধ্যমে আমরা ত্বককে যত্নশীল করে তুলি।
কিন্তু পায়ের ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থা হলো ‘কোনো যত্ন নেই’; অর্থাৎ সম্পূর্ণ অবহেলা। এর ফলে, অযত্নের কারণে হাত-পা ও মুখের ত্বকের মধ্যে বিশাল পার্থক্য দেখা দেয়। অথচ ঘরে বসেই পায়ের যত্ন নেওয়া সম্ভব। চলুন, পদ্ধতিগুলো সম্পর্কে জানি:
১. সপ্তাহে অন্তত একদিন হালকা গরম পানিতে কিছুক্ষণ পা ডুবিয়ে রাখুন। এতে নখের কোণে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার হয়ে যাবে। পানিতে লেবুর রস ও বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। এর ফলে পায়ের ত্বক পরিষ্কার হবে এবং ট্যানও কমে যাবে।
২. পায়ের ত্বকে যথেষ্ট ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অতিরিক্ত শুষ্ক ত্বক বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই রাতে ঘুমানোর আগে পায়ে পর্যাপ্ত ময়েশ্চারাইজার লাগান।
৩. স্ক্রাবিং শুধু মুখের জন্য নয়, পায়ের ত্বকের জন্যও অপরিহার্য। এটি ত্বকের দাগছোপ ও ট্যান কমাতে সাহায্য করে। বাড়িতে সহজেই স্ক্রাব তৈরি করা যায়, যেমন কফি ও মধুর মিশ্রণ।
৪. ‘ইনগ্রাউন নেইল’ প্রতিরোধ করতে পায়ের নখগুলো সোজা করে ছেঁটে নিন। নখের আগা মসৃণ করতে ফাইল ব্যবহার করুন। মাঝারি দৈর্ঘ্যের নখ রাখলে ভাঙার সম্ভাবনা কমে যায়।
৫. পাশাপাশি পা ঢাকা জুতা পরার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত। এতে পা সুরক্ষিত থাকবে।
Post a Comment