ইন্টারনেটের মূল্য কমানোর পাশাপাশি সেবার মানও উন্নত করতে হবে

বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ উল্লেখ করেছেন যে, শুধুমাত্র ইন্টারনেটের মূল্য হ্রাস করলেই হবে না, বরং সেবার গুণগত মান উন্নত করাও জরুরি। ডিজিটাল বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে, যারা এখনও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ থেকে বঞ্চিত, তাদের অন্তর্ভুক্ত করতে ইন্টারনেটের মূল্য আরও কমানোর জন্য ভ্যাট ও ট্যাক্সের হার সমন্বয় করা প্রয়োজন।

ইন্টারনেটের মূল্য কমানোর পাশাপাশি সেবার মানও উন্নত করতে হবে

শনিবার (১৯ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘বিটিআরসির ক্ষমতায়ন, টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনী ২০১০ ও বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মহিউদ্দিন আহমেদ এসব মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, আমরা ডিজিটাল বা স্মার্ট প্রযুক্তির দিক থেকে পিছিয়ে আছি। আমাদের অবস্থান আফ্রিকার স্তরে এবং আফগানিস্তানের কিছুটা উপরে। যদিও ভয়েস সেবার দিন শেষ হয়ে গেছে, তবুও দেশের মোবাইল অপারেটরদের ৫০-৬০ শতাংশ আয় এখান থেকেই আসে। মানসম্মত সেবা প্রদান করতে হলে টেলিযোগাযোগ নীতিমালা এখনই হালনাগাদ করা প্রয়োজন।

তিনি উল্লেখ করেন, গণঅভ্যুত্থানের সময় ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আমরা আশা করি, সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দ্রুত ইন্টারনেটকে মৌলিক মানবাধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেবে। আমাদের প্রত্যাশা, আইএসপি বা টেলিকম প্রতিষ্ঠানগুলো কখনোই সরকারের নির্দেশে ইন্টারনেট বন্ধ করবে না। এজন্য বিটিআরসিকেও জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।

রবি আজিয়াটা লিমিটেডের টেকনিক্যাল রেগুলেশন্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের সিনিয়র ডিরেক্টর অনামিকা ভক্ত আলোচনা সভায় উল্লেখ করেন যে, প্রতিষ্ঠানটি প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করলেও মুনাফা ৩ শতাংশের বেশি হয় না। এর ফলে মান বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। তিনি আরও বলেন, টেলিকম খাতে সরকারের বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন।

এ সময় টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিশ্লেষক ফিদা হক, মোস্তাফা মাহমুদ হুসাইন, আইআইজিএবি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাকতবর রহমান, আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক, প্রতিযোগিতা কমিশনের সাবেক পরিচালক খালেদ আবু নাসেরসহ অন্যান্য বক্তাগণও বক্তব্য রাখেন।

Post a Comment

Previous Post Next Post

Smartwatchs