ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ পায়রা সমুদ্রবন্দরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে, ফলে সতর্ক সংকেত বৃদ্ধি পেয়েছে।
এর আগে বুধবার সকাল ৬টায় ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে ছিল।
আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান জানিয়েছেন, পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তার সংলগ্ন অঞ্চলে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই স্থানে (১৬.৭° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯.৪° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) ঘনীভূত হচ্ছে। বুধবার দুপুর ১২টায় এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড়টি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র থেকে ৫৪ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি, ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের নিকটবর্তী অঞ্চলে সাগর অত্যন্ত উত্তাল অবস্থায় রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত প্রদর্শনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
Post a Comment