বাংলাদেশের পাট 'গোল্ডেন ফাইবার অব বাংলাদেশ' শিরোনামে জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন (জিআই) অর্জনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে, এ তথ্য জানিয়েছেন পাট উপদেষ্টা।
পাটের 'জিআই' স্বীকৃতি অর্জনের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন মন্তব্য করেন, 'বাংলাদেশের গোল্ডেন ফাইবার' নামে পাটের জিআই স্বীকৃতি প্রদান করা হবে।
তিনি উল্লেখ করেন, বন্ধ থাকা মিলগুলোকে উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে দ্রুত উৎপাদনের আওতায় আনা হবে। বিনিয়োগকারীরা পিপিপি বা দীর্ঘমেয়াদি লীজের মাধ্যমে টেক্সটাইলসহ অন্যান্য খাতে বিনিয়োগ করতে পারবেন। বর্তমানে পাটের চাহিদা ও দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাটের অবৈধ মজুদদারি কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।
রোববার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনাগাঁও হোটেলে মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত দুটি মিলের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আর আর টেক্সটাইল মিল, চট্টগ্রাম এবং রাজশাহী টেক্সটাইল মিল পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) এর মাধ্যমে পরিচালিত হবে।
বন্ধ মিলগুলোর পুনরুদ্ধার নিশ্চিত করলে কর্মসংস্থান, রাজস্ব বৃদ্ধি এবং সামাজিক উন্নয়নসহ শিল্পায়নের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যাবে। পাট উপদেষ্টা বিনিয়োগকারীদের বন্ধ মিলগুলোতে ভবিষ্যতে আরও বিনিয়োগের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ উল্লেখ করেন, বর্তমানে বিটিএমসি’র অধীনে ২৫টি মিল পরিচালিত হচ্ছে। বস্ত্র খাতের সঙ্গে পাট খাতের বিভিন্ন পণ্য জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। প্রাণ গ্রুপের সক্ষমতা সন্তোষজনক এবং আশা করা হচ্ছে যে তারা ভবিষ্যতে এই খাতে আরও বিনিয়োগ করবে।
এদিকে, প্রাণ গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী আহসান খান চৌধুরী তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে, মিল দুটি চালু হলে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং এখানে গ্রিন ফ্যাক্টরি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রাণ গ্রুপ এই দুটি মিলের কার্যক্রম আগামী ৩০ বছরের জন্য পরিচালনা করবে। এছাড়া, এই চুক্তিটি ১০ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। চট্টগ্রামের আর আর টেক্সটাইল মিলের আয়তন ১৯ একর, আর রাজশাহী টেক্সটাইল মিলের আয়তন ২৬ একর।
প্রাণ গ্রুপ প্রয়োজনীয় সংস্কার করে এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে আধুনিক টেক্সটাইল মিল হিসেবে গড়ে তুলবে। মিল দুটিতে প্রায় দশ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা রয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিটিএমসি’র চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জিয়াউল হক স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন।
এ সময় নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সচিব দেলোয়ারা বেগম, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তসলিমা কানিজ নাহিদা, সুব্রত শিকদার, এ, এন, এম, মঈনুল ইসলামসহ বস্ত্র ও পাট এবং নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
Post a Comment